মো: রফিক উল্যাহ :
১৪৪৬ হিজরীর আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা। মুসলিম উম্মার কাছে এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাস সীমাহীন ফজিলতের মাস। হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেন রাসূল (সা:) বলেছেন – তোমাদের রব বলেন রমজানে বনি আদমের প্রত্যেকটি নেক আমলের সওয়াব ১০ গুন থেকে সাতশো গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেয়া হয় শুধু রোজা ছাড়া কেননা রোজা আমার জন্য আর আমি নিজেই তার প্রতিদান দিব।
জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে অন্য হাদিসে রাসুল (সা:) বলেন – সূর্যোদয়ের মাধ্যমে যে দিনগুলো শুরু হয় তার মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন।
সুতরাং জুমা এবং রমজান দুয়ের কারণেই আজকের দিনটি মুমিন জীবনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এ দিনে করণীয় কিছু সুন্নত আমল রয়েছে যা করা খুবই সহজ কিন্তু তার সাওয়াব এত বেশি যে হাদিস বিশারদরা বলেছেন অন্য কোন আমলে এত বেশি সওয়াবের বর্ণনা পাওয়া যায় না। সে আমলগুলো হল :
১) ভালোভাবে গোসল করা ২) উত্তম পোষাক পরিধান করা ৩) সুগন্ধি ব্যবহার করা ৪) পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া ৫) আগে আগে মসজিদে যাওয়া ৬) ইমামের কাছাকাছি বসা ও মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা ৭)বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা ৮)কাউকে কষ্ট না দেয়া।
হযরত আওস ইবনে আওস আস সাকাফি (রা) বলেন যদি কোন ব্যক্তি উপরে বর্ণিত কাজগুলো করে তাহলে ঘর থেকে মসজিদে যাওয়া পর্যন্ত প্রতি কদমে এক বছর নামাজ ও এক বছর রোজা রাখার সওয়াব তার আমলনামায় দেয়া হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ -১০৮৭)
একবার চিন্তা করুন প্রিয় ভাই আপনার ঘর থেকে যদি আপনার মসজিদ ১ হাজার কদম দূরে হয় তাহলে আপনি ১ হাজার বছর নামাজ ও ১ হাজার বছর রোজার সওয়াব পাবেন । কত বিশাল নেয়ামত আমাদের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দিয়েছেন।
তাই আসুন রাসুলে আকরাম সাঃ বর্ণিত কাজগুলি আমরা যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে করি এবং এ বিশাল সাওয়াব অর্জন করি।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। রমজানের ফজিলত ও জুমাতুল বিদার ফজিলত নসিব করুন।
শিক্ষক
স্কলার্স স্কুল এন্ড কলেজ, নয়নপুর।